জয়পুরহাট ভ্রমণ সাথে হিলি বর্ডার দর্শন (ভিডিওসহ)

৬৪ জেলা ভ্রমণ প্রকল্পের এবারের জেলা ছিলো জয়পুরহাট। ঘুরে দেখার মত কি কি আছে তা খুঁজে বের করতে কিছুটা সমস্যা হলেও শেষ পর্যন্ত ভালো একটু ট্যুর ছিলো। কি দেখলাম জয়পুরহাট জেলায় চলুন পড়ে ফেলা যাক।

সর্বশেষ সোলো ট্যুর দেই ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তে। ভার্সিটির বড় ভাই ইকবাল ভাইয়ের সৌজন্যে সেবার রাজশাহী ঘুরতে যাওয়া হয়। তারপর পাঁচ মাস কেটে যায় নিজের মন মত কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ মিলে না। ৭ মার্চ দুপুরে হঠাৎ করে মাথায় আসে আজকে যদি কোথাও না যাই তাহলে এ’মাসে আর ঘুরতে যাওয়া হবে না। ঘুরতে যাবোই নিয়ত করে অদেখা ১৮ জেলার লিস্ট নিয়ে বসি। মাদারীপুর নিয়ে বেশ ঘাটাঘাটি করলেও মন তেমন সায় দিচ্ছিলো না। ইচ্ছা ঢাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরের কোন জেলায় যাওয়ার।

জয়পুরহাট জেলা নজর কাড়লো। আমার পছন্দের টিওবি ফেসবুক গ্রুপ, বাংলাদেশের জেলাসমূহের নিজস্ব ওয়েবসাইট, গুগল করে জয়পুরহাট সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পেলাম না।

বইমেলা থেকে কেনা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ভাইয়ের ‘৬৪ জেলায় কি দেখেছি’ বইয়েও তেমন কোন তথ্য পেলাম না। তবে আয়মান সাদিকের ‘ট্রাভেল বাংলাদেশ Challenge Book’ বইয়ে ১০টা স্থানের সন্ধান পাই। গুগল ম্যাপের সাহয্য নিয়ে আরো কিছুক্ষন খোঁজাখুজির পর কিছু তথ্য মিলে। সব কিছু মিলিয়ে ঠিক করলাম জয়পুরহাট যাবো। প্রধান আকর্ষন ছিলো হিসেবে কাজ করছিলো ‘হিলি বর্ডার’ যদিও তা দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত।

জেলা ঠিক করার পর প্রধান কাজ ট্যুর বাজেট এবং কিভাবে যাবো তা ঠিক করা। যদি বাজেট এবং সময়ে না মিলে তাহলে অন্য জেলা খুঁজে বের করতে হবে। হিসাব করে দেখলাম আমি যা যা ঘুরতে চাই তা ১৫০০ টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে। ট্রেন ভ্রমণ পছন্দ হলেও সময় না মিলায় বাসের টিকেট করতে হলো। এখানে ভাগ্য বেশ ভালো ছিলো A1 সিট মিললো।

বহুদিন পর সোলো ট্যুর দিবো তাই ভিতরে ভিতরে বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম। আফসোস হচ্ছিলো ২০১৭ সালে কত ট্যুর দিয়েছে আর আজ তা কোথায় এসে ঠেকেছে…

আমার লেখা ই-বুক কিনতে এখানে ক্লিক করুন

শ্যামলী বাসের সিট ভালো হলেও জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে যাত্রী খোঁজার কারনে বেশ বিরক্ত লাগছিলো। সুপারভাইজার আর ড্রাইভারের পকেট ভারী করার জন্যই এই যাত্রী তোলা। একদম সামনের সিটে হওয়ায় সব দেখছিলাম। শেষ পর্যন্ত ভাড়ায় না মিলায় কোন যাত্রী না নিলেও অতিরিক্ত সময় নষ্ট হয় প্রায় ৪০ মিনিট।

যমুনা ব্রিজ পার হওয়ার পর যাত্রা-বিরতিতে বাস থেকে নামার পর পরই বুঝতে পারি কি বিশাল এক ভুল করে ফেলেছি। সাথে করে কোন শীতের কাপড় আনা হয় নি। দুইটা ট-শার্ট এনেছিলাম তাই ভরসা। উত্তরের ঠান্ডা বাতাস যেন সুই হয়ে ঢুকছিলো।

সকাল ৬.৪২ মিনিটে বাস জয়পুরহাট নামিয়ে দিলো। কনকনে ঠান্ডায় ভিতরের হাড্ডি পর্যন্ত কাঁপছিলো। একটা হোটেলে গিয়ে বসলাম। পরোটা আর ডাল দিয়ে নাস্তা করে নিলাম। পরোটার দাম ৬টা হলেও ডাল ফ্রি। কিছুক্ষন এদিক সেদিক করে গুগল ম্যাপ বের করে দেখলাম খঞ্জনপুর সবচেয়ে কাছে।

অটোতে করে প্রথমে চলে গেলাম খঞ্জনপুর। মিশনারী স্কুল, মাঠ, চার্চ দেখে রওনা হলাম বারো শিবালয় মন্দিরের খোঁজে। সমস্যায় পড়লাম খুব সকাল বলে এখনো লোকাল অটো চালু হয় নি। কোন রিকশা নিয়ে যাবে সেই উপায়ও নেই, কারন রিকশাও ছিলো না। খঞ্জনপুর মোড়েই প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছি। এরমধ্যে আরো একজনকে পাওয়া গেলো যে ওইদিকে যাবে। লোকটা একটা ভ্যান দেখে নিজ থেকেই বললো, আমি ২০টাকা দিবো আপনি ১০ টাকা দিবেন। ভ্যানওয়ালাও ৩০টাকা শুনে রাজি হলো।

ভ্যানে চড়ে লোকটার সাথে টুকটাক কথা হলো। আমি শুধু ঘুরতে একা এতদূর এসেছি শুনে তার বিস্ময়ের শেষ নেই। জানালো আর দুইদিন আগে আসলে শিব চতুর্দশী মেলা দেখতে পারতাম। অনেক মানুষের সমাগম হয়েছিলো নাকি। উনি মেলার সামনেই ক্ষনস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন, সেখানেই যাচ্ছেন।

মন্দিরের সামনে নেমে দেখলাম আরো বেশকিছু ক্ষনস্থায়ী দোকান হয়েছে মেলাকে কেন্দ্র করে। মেলা শেষ হলেও তারা এখনো আছে। ভদ্রলোক সবাইকে বললো যে আমি শুধু ঘুরতে এতদূর এসেছি। সবার আগ্রহে বেশ ইতস্তত বোধ করলাম। লকমার রাজবাড়ি যাবো শুনে একজন তার আত্মীয়কে ফোন দিলেন যেন আমাকে ভালোভাবে ঘুরিয়ে দেখায়। মন্দিরের ঠাকুর না থাকায় আমি ভিতরে যেতে পারছিলাম না তাই উনাদের সাথেই গল্প করছিলাম। গরম গরম জিলাপি না খাওয়াতে পারায় তাদের আফসোসের কোন শেষ ছিলো না।

পূজোর বেলপাতা, বাহারি ফুল নিয়ে ঠাকুর আসলো। আমি মন্দিরে প্রবেশ করলাম। ঠাকুরের কাছ থেকে জানলাম বিশ্বের অনেক জায়গাতেই শিব মন্দির রয়েছে, এরচেয়ে বড়ও রয়েছে কিন্তু একসাথে বারোটি শিব মন্দির আর কোথাও নাকি নেই। ঘুরে ঘুরে মন্দির দেখতে দেখতে ঠাকুরের গল্প শুনে বেশ অবাক হলাম।

জীর্ণসার বয়সের ভারে নুয়ে পড়া ঠাকুর মশাই দিনে দুইবার মন্দিরে পূজো দেয়, বিনিময়ে মিলে ৮০ টাকা। দুঃখ করে বলতেছিলো এই যুগে দিনে ৮০ টাকায় কি হয়? কয়েকদিন আগে রাগ চলেও গিয়েছিলো। মন্দির কমিটি বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার নিয়ে এসেছে কিন্তু টাকা বাড়ায় নি। বললো, শুধু এই মেলাকে উপলক্ষ্য করে লাখ লাখ টাকা কামাই হয়েছে কিন্তু তার সবই ওই কমিটির লোকের। সে পূজো না দিলে কে দিবে, এমন চিন্তায় এখনো রোজ দু’বেলা পূজো দিয়ে যাচ্ছে।

মন্দির থেকে বের হয়ে অদ্ভুত এক প্রাণী দেখলাম। অদ্ভুত বলতে আমাদের সবার পরিচিত গরু তবে দুই মাথা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মেলা উপলক্ষ্যে এখানে আনা হয়েছে। কাপড়ের ঘর বানিয়ে তাতে রাখা হয়েছে, ৫টাকা টিকেট কেটে দেখতে হয়। দেখে কষ্টই লাগলো, বের হয়ে আসলাম।

মন্দির দর্শন শেষে যাবো লকমা রাজবাড়ি। সমস্যা হলো এখানেও কোন অটো বা ভ্যান নেই। বাধ্য হয়ে আবারো মিনিট বিশেক দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। খঞ্জনপুর মোড়ের সেই ভাইটি’ই ভ্যান ঠিক করে দিলো। প্রথমে গেলাম শিমুলতলী বাজার। সেখান থেকে আরেক ভ্যানে চড়ে পাঁচবিবি মোড়। এদিকের রাস্তাগুলো বেশ ভালো। ভাঙ্গা নেই বললেই চলে। অবাক হলাম।

পাঁচবিবি মোড়ে এসে বড় মসজিদের পাশে দেখলাম বিশাল পাইকারী বাজার বসেছে। ছোট ছোট নতুন আলু, টমেটো, মরিচ সহ আরো কত কি। কিছুক্ষন বাজার ঘুরে অটোতে করে রাজবাড়ির উদ্দ্যশ্যে রওনা হলাম। রাজবাড়িটা বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারে। পথিমধ্যে বেশ কিছু ছোট বাজার চোখে পড়লো। এদিকের রাস্তাও বেশ ভালো। দেশের আরো বিভিন্ন জেলায় আমার যাওয়া হয়েছে শহর থেকে ভিতরের দিকে এত ভালো রাস্তা তেমন চোখে পড়ে নি।

লকমা রাজবাড়ি দেখে কষ্ট পেলাম। এত পুরাতন ঐতিহাসিক স্থাপনা কিন্তু সংরক্ষন করার কেউ নেই। অযত্নে, অবহেলায় ধ্বংসাবশেষটুকু কোনরকমে টিকে আছে। সিঁড়িগুলো দেখলে গা ছমছম করে মনে হয় যেন সাপের আস্তানা। আসলে কোন সাপ নেই।

রাজবাড়ির ছাদ থেকে ভারতের কাঁটাতার দেখা যায়। স্থানীয় একজনের কাছ থেকে জানলাম কাঁটাতারে কিছুদূর পর পর গেট আছে। ভারতীয়রা এসে কাজ করে যায় আবার সময় শেষ হলে চলে যায়। মনুষ্য তৈরি নিয়মের বেড়াজালে কষ্ট পায়, মানুষই!

রাজবাড়ি দেখে এবার যাবো পাথরঘাটা উপজেলায়। সেখানে যে আসলে কি আছে জানি না। এই না জানাটাই যাওয়ার আগ্রহ তৈরি করেছে যার কারনে আমার লিস্টে উঠতে পেরেছে। যাই হোক আমি আবার পাঁচবিবি মোড়ে চলে আসলাম। অটোতেই একজনের সাথে পরিচয় হয় সে নিজে থেকে আমাকে পাথরঘাটা যাওয়ার অটোতে তুলে দিলো। যাওয়ার সময় ফোন নাম্বার নিয়ে গেলো। পাথরঘাটা পৌঁছানোর পর লোকটি আমাকে ফোনে জিজ্ঞাসাও করেছিলো আমি ঠিকমত পৌঁছেছি কিনা। ক্ষনিকের পরিচয়ে এ কি মায়ার বন্ধন!

পাথরঘাটা পৌঁছে দেখলাম একটা ছোট মাজার আছে সেখানে। বিশাল এক মাঠের মত জায়গা বড় বড় গাছ দিয়ে ঢাকা, কি গাছ তা অবশ্য চিনতে পারি নি। পাশেই হাঁটু সমান পানির বয়ে চলা নদী। মাজারের সামনে দাঁড়িয়ে দেখছি এমন সময় এক লোক আসলো। আমি কোথা থেকে কেন এসেছি শোনার পর বললো, ‘বেশ ভালো, বেশ ভালো। এমনই হওয়া উচিত। সবার ঘুরে ঘুরে দেখা উচিত নিজের দেশকে।’ খুব প্রশংসা করলো। শুনেই মন ভালো হয়ে গেলো।

পাথরঘাটায় আসার সময় ভ্যান নিয়ে এসেছিলাম। এখন যাওয়ার জন্য হাঁটা ছাড়া উপায় নেই। আমার অবশ্য অসুবিধে হলো না। দেখলাম কাছেই খ্রিস্টানদের কবরস্থান, রাস্তার পাশে। কোন দেয়াল বা বাউন্ডারি দেওয়া নেই। কবরস্থানের সাথেই লাগোয়া চাষের জমি। মৃত্যু এবং জীবনের অদ্ভুত এক মিশেল!

হিলি স্থলবন্দর দিনাজপুরে হলেও জয়পুরহাট থেকে কাছে। সদর থেকে মাত্র ৩০-৪০ মিনিটের বাস জার্নি। পাঁচবিবি থেকে আরো কাছে। বর্ডারের প্রতি আগ্রহ আর চকলেট কেনার লোভে হিলি বর্ডারের দিকে রওনা হলাম। পাঁচবিবি মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি তখন এক ফার্মেসীর দোকানীর সাথে কথা হলো। কিছুক্ষন পর সে জিজ্ঞাসা করলো, কেমন দেখলেন জয়পুরহাটের মানুষ? বললাম, সহজ সরল। সবাই যতটা পেরেছে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। এটা খুব ভালো লেগেছে। উত্তরে বললেন, হুম। ভালো-খারাপ দুইটাই আছে। আমি আর কথা বাড়ালাম না।

হিলি বর্ডারে গিয়ে অবাক। এখানে কোন কড়াকড়ি নেই। মানুষ আসছে, যাচ্ছে, ঘুরছে কোন বাধা নেই। শুধু লেখা পাসপোর্ট ছাড়া কেউ অতিক্রম করবেন না, এতটুকুই। আমার সাথে পাসপোর্ট না থাকায় আমিও সীমানা অতিক্রম করলাম না। মজার ব্যাপার হচ্ছে বর্ডারেই রেললাইন। এইপাড়ে বাংলাদেশ, ওইপাড়ে ভারত।

দশ চাকার বিশাল বিশাল ভারতীয় ট্রাকগুলো বাংলাদেশে ঢুকছে। বর্ডারে আসার সময় একজন বলতেছিলো এই ট্রাকগুলোর কারনে রাস্তা এখানে বেশ ভাঙ্গাচোরা। এত ভারী ট্রাকের বোঝা নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের রাস্তাগুলোর নেই, কথা সত্য। যাই হোক ব্যাগ বোঝাই করে চকলেট কিনে আবার জয়পুরহাটের দিকে রওনা দিলাম।

বিকেলের শুরুতে নন্দাইল দীঘি যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ড গিয়ে বুঝতে পারলাম আমার জয়পুরহাট ভ্রমণের এখানেই সমাপ্তি। নতুন কোন জায়গায় যাওয়া আর সম্ভব না যদিও তখনো আমার ভ্রমণ তালিকার তিনটা জায়গায় যাওয়া বাকি। কিছুটা মন খারাপ হলেও শহরটা দেখার জন্য সময় পাওয়া যাবে মনকে এই সান্ত্বনা দিয়ে ফিরে আসলাম। চলে গেলাম রেলস্টেশন। মুড়ি মাখা, আনারস মাখা খেতে খেতে মানুষ দেখছি। কিন্তু মশার কামড় খেয়ে বাধ্য হয়ে উঠে পড়তে হলো। রেলস্টেশনের পাশের মাছের বাজারে গেলাম। বাজার ঘুরতে ঘুরতে কখন যে ঘন্টাখানেক সময় পার ফেলছি টেরই পাই নি।

রাতের খাবার খেয়ে বাসস্ট্যান্ড চলে আসলাম। এবার ফেরার পালা। সারাদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিয়ে বাসের অপেক্ষা করতে থাকলাম আর মনে মনে স্মৃতিচারন। একটা দিন কেমন চোখের পলকে শেষ হয়ে গেলো, স্মৃতির মনিকোঠায় জমিয়ে দিয়ে গেলো আরো কিছু গল্পের।

সবার সুবিধার্থে আমার যাতায়াত রুট খরচসহ তুলে দিলাম,

যাতায়াত

• কল্যানপুর থেকে বাসে জয়পুরহাট সদর ৪০০ টাকা
• জয়পুরহাট সদর থেকে অটোতে খঞ্জনপুর মোড় ৫ টাকা
• খঞ্জনপুর মোড় থেকে হেঁটে মিশনারী মাঠ, চার্চ
• খঞ্জনপুর মোড় থেকে ভ্যানে বারো শিবালয় মন্দির ১০ টাকা
• বারো শিবালয় মন্দির থেকে ভ্যানে শিমুলতলী বাজার ১০ টাকা
• শিমুলতলী বাজার থেকে ভ্যানে পাঁচবিবি পাঁচমাথা মোড় ৫ টাকা
• পাঁচবিবি মোড় থেকে অটোতে লকমা রাজবাড়ী ২৫ টাকা
• লকমা রাজবাড়ী থেকে হেঁটে মাজার মোড়
• মাজার মোড় থেকে ভ্যানে পাঁচবিবি ২০ টাকা
• পাঁচবিবি মোড় থেকে হেঁটে রেলস্টেশন
• রেলস্টেশনের ওইপাড় থেকে অটোতে উচাই বাজার ১০ টাকা
• উচাই বাজার থেকে ভ্যানে পাথরঘাটা ১০ টাকা (এমনিতে ৫টাকা)
• পাথরঘাটা থেকে হেঁটে মেইন রাস্তা মোড়ে
• মোড় থেকে ভ্যানে উচাই বাজার ৫ টাকা
• উচাই বাজার থেকে ভ্যানে পাঁচবিবি পাঁচমাথা মোড় ৫ টাকা
• পাঁচবিবি থেকে বাসে হিলি বাসস্ট্যান্ড ১৫ টাকা
• বাসস্ট্যান্ড থেকে ভ্যানে বর্ডার ১০ টাকা
• বর্ডার থেকে রিকশায় হাকিমপুর, হিলি বাসস্ট্যান্ড ২০ টাকা
• হিলি থেকে বাসে জয়পুরহাট ৩০ টাকা
• সদর মোড় থেকে হেঁটে রেলস্টেশন যাওয়া-আসা
• সদর মোড় থেকে অটোতে জয়পুরহাট বাসস্ট্যান্ড ৫ টাকা
• জয়পুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোতে খঞ্জনপুর মোড় ১০ টাকা
• খঞ্জনপুর মোড় থেকে অটোতে জয়পুরহাট সদর মোড় ৫ টাকা
• জয়পুরহাট সদর মোড় থেকে বাসে টেকনিক্যাল ৪০০ টাকা

যা যা দেখলাম
• জয়পুরহাট সদর
• খঞ্জনপুর মিশন খেলার মাঠ, চার্চ
• বারো শিবালয় মন্দির
• পাঁচবিবি বড় মসজিদ সংলগ্ন সকালের পাইকারি বাজার
• লকমা রাজবাড়ী, ভারতের বর্ডার
• পাঁচবিবি রেলস্টেশন
• পাথরঘাটা মাজার, তেলমুখী নদী
• হিলি বর্ডার
• জয়পুরহাট রেলস্টেশন

শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিন

Similar Posts